চিৎকারে শান দিচ্ছে অজস্র বিদেশ

চিৎকারে শান দিচ্ছে অজস্র বিদেশ


না চেনা বিদেশগুলো তাকিয়ে দেখছে নাভিশ্বাস ওঠা বন্দর
কলিজায় ঘুন ধরা জাহাজের খামারে নেমে এসেছে ছায়াপথ
ধুরন্ধর কার্টুনের আঁশের চাকচিক্য গিলে নিচ্ছে সামুদ্রিক অনুরাগ
ঘূর্ণায়মান ছায়াপথের গোলকধাঁধায় অচেনা বিদেশ কুড়িয়ে নিচ্ছে মরনফাঁদ
মেছেতা পড়া গালে আমি নামহীন বন্দরের জলছবি খুঁজছি

আমার হাতের হরিৎ ক্ষেত্রে উল্কাবৃষ্টি ঢালছে দাবদাহ
চাপ চাপ অশুভক্ষণ বন্দরের অলিগলিতে ঠেসে দিচ্ছে আড়িপাতা
জনৈক ঈশ্বরের কোনো কমিটমেন্টের পাগলামি এখানে অচল
অষ্টপ্রহরের বাকবিতণ্ডা প্রাচীন বন্দরে এগিয়ে আসছে গুটিসুটি
এ দেশ আমি নই বলে চিৎকারে শান দিচ্ছে অজস্র বিদেশ

পরাভবের ঢিলেঢালা চোরা চাউনি টেনে নিচ্ছে সমুদ্রের তলদেশ
সমূহ লাজুকতা সর্পিল জলস্রোতে বন্ধক রেখে গান গাইছে ছায়াপথ
 নর্তক আঁধারের মরচে পড়া ঘুঙুরে কান পেতেছে অসহায় জাহাজ
রোঁয়া ওঠা সুর এঁকেবেঁকে ঘিরে আছে মুমূর্ষু বন্দরের একাকিত্ব

এক অদৃশ্য অটোগ্রাফ আমাকে চিনিয়ে দিচ্ছে পাড়ি জমানোর মাইলস্টোন
অনায়াস সাফল্যে গড়াগড়ি খাচ্ছে নিশ্চুপ শব্দের হালহকিকত
জেগে উঠছে নাভিশ্বাস ওঠা বন্দর

চিৎকারে শান দিচ্ছে অজস্র বিদেশ

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অভিনব প্রণয়ের পান্ডুলিপি

সম্পর্ক

স্বগতোক্তি