ভ্রাম্যমাণ বধ্যভূমি
ভ্রাম্যমাণ বধ্যভূমি
গজিয়ে ওঠে আলপথ। হেলে পড়া বেলায় মাঠ চাঁদ হয়। জোৎস্নায় ফুঁ দেয় ধানের শীষ কুড়োতে যাওয়া। থই থই দীঘি হামাগুড়ি নামা হিম বুকে জড়িয়ে আদরের তুফান তোলে। জলের গভীরে অপরূপ আঁতুড়ঘর। কাতুকুতু বন্দিশে আলমোড়া ভাঙ্গে ঘুমপাড়ানি গান।
গুলঞ্চ লতার কচি কচি গালে হাসির ঝুরি দোল খায়। চুপচাপ রাত মাখে বনবাদাড়। কুকশিমার ডাল হাঁটার বর্ণমালা শেখে শুঁয়োপোকার দেহাতি চলনে। নিশাচর রাতের চোখে ঘুম নেই। হেলেঞ্চা পাহারা দিচ্ছে একা ভায়াদ লতাপাতাদের। বাতাসের ফস্টি নস্টি গড়িয়ে চলে রাতভর। দীঘির চিতানো বুকে কেঁদে ওঠে হিমশিশুর ঝরে পড়া খেলা।
ভোরের আজানের আগেই পাততাড়ি গুটিয়ে নেয় আলপথ। দীঘির খিড়কি দুয়ার দিয়ে জোৎস্না ঢুকে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। চাঁদ তাড়ানো স্বরলিপি ঝাঁকের কই হয়ে রোদ ডাকার মন্ত্র আওড়ায়।
নিস্তব্ধতা খতম হলেই কোলাহলের বন্যায় ঝাঁ ঝাঁ কটমট রোদের ফলা। হে হলাহলের বাদশা ছায়া পাতো। দীর্ঘতর ছায়া।
রুধির কখনো দিন নয়। ঘাস বিছানো পথের জলো শরীর পুড়ে খাক।
ভস্মীভূত রাতকথারা সেঁধিয়ে যাচ্ছে দিনের আনাচেকানাচে। আবার কখনো থমথমে দীঘি জাগাবে হিম।
যাযাবর হংস বলাকারা জানে
বধ্যভূমি ভ্রাম্যমাণ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন